গত কয়েক দিনে গাজা ভূখণ্ডে হামাসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অনেককেই অবাক করেছে। বিশ্লেষকরাও এই বিক্ষোভকে স্বতঃস্ফূর্ত বা খাঁটি বলে মনে করতে দ্বিধা বোধ করছেন। কারণ দশক ধরে হামাস কঠোর হাতে গাজা শাসন করেছে এবং যেকোনো ধরনের ভিন্নমত দমন করেছে। তাই বিরল এই আন্দোলন কি স্বতঃস্ফূর্ত, নাকি এটি কোনো বিশেষ কৌশলের অংশ...
গাজায় ইসরায়েলের হামলার পর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে ভেস্তে যাওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি পুনরুদ্ধারে মিসর নতুন প্রস্তাব দেওয়ার পর হামাস আলোচনার জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির জ্যেষ্ঠ নেতা ড. খলিল আল-হায়া। টেলিগ্রাম বিবৃতির বরাত দিয়ে আল-জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
গাজার প্রতি ১০০ জন শিশুর মধ্যে ২ জন নিহত, ২ জন নিখোঁজ, ৩ জন গুরুতরভাবে আহত, ৫ জন এতিম হয়েছে কিংবা বাবা-মার থেকে আলাদা হয়ে পড়েছে এবং ৫ জন গুরুতর অপুষ্টিতে ভুগছে। এ ছাড়া, উপত্যকায় যত শিশু আছে তাদের প্রত্যেকেরই শরীরে ক্ষতের দাগ আছে এবং সবাই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বলেও উঠে এসেছে পরিসংখ্যানে।
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের মুখপাত্র আব্দেল লতিফ আল-কানুয়া। উত্তর গাজার জাবালিয়ায় এক শরণার্থীশিবিরের ইসরায়েলি বোমা হামলায় প্রাণ হারান এই নেতা। আজ বৃহস্পতিবার কানুয়ার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম আল-কুদস্ নিউজ নেটওয়ার্ক। প্রকাশ করা হয়েছে ত
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ও যুদ্ধবিধ্বস্ত ভূখণ্ড গাজার আরও অঞ্চল দখল করে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, হামাস যদি বাকি ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দিতে গড়িমসি করে তবে গাজা দখল করে নেওয়া হবে। লেবাননের...
তারিখটা ছিল ১৭ মার্চ। রমজানের ১৮তম দিনে সেহরি করছিলেন ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার বাসিন্দারা। হঠাৎ তাঁদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনী বোমা হামলা চালানো শুরু করে। এতে তাৎক্ষণিকভাবে প্রাণ হারায় ৪০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি। আহত হয় শতাধিক। এর পর থেকে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রতিদিনই ঘটছে হতাহতের
যুদ্ধ বন্ধের দাবি এবং হামাসকে চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে গাজায় বিক্ষোভ করেছে কয়েকশ ফিলিস্তিনি। হামাসের বিরুদ্ধে তাঁদের স্লোগান দিতেও দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত পোস্টে। গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে এই ধরনের প্রতিবাদ খুবই বিরল। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার সূত্র ধরেই সংঘাতের নত
গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা চলতে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে। সেই দিনের পর থেকে বলা যায়, গাজায় নিরবচ্ছিন্ন হত্যাকাণ্ড চালিয় যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী, মাঝের স্বল্প সময়ের যুদ্ধবিরতি ছাড়া। প্রায় দেড় বছর ধরে চলা ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞে গাজায় নিহত শিশুর সংখ্যা বেড়ে ১৫ হাজার ৬১৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
ইসরায়েলি আগ্রাসনে ২৪ ঘণ্টায় অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৬০ ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আল-জাজিরার এক সাংবাদিকও আছেন। হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে আল-জাজিরা।
১৫ বছর আগে এক সহপাঠীর আমন্ত্রণ বদর খান সুরির জীবন পুরোপুরি বদলে দিয়েছিল। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের মুখোমুখি। কারণ, তাঁর বিরুদ্ধে হামাসের এক সদস্যের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ফিলিস্তিন ইস্যুতে আরব দেশগুলোর নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতাকে সাধারণত অনৈক্য, দুর্বলতা বা অগ্রাধিকারের অভাব দিয়ে ব্যাখ্যা করা হয়। কিন্তু বাস্তবতা আরও জটিল। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান অনেকে জানালেও বেশির ভাগ আরব সরকারের অগ্রাধিকার...
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বর্বরতার রেকর্ড গড়ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী—আইডিএফের টানা ছয় দিনের আগ্রাসনে উপত্যকায় প্রাণ হারিয়েছে ৬ শতাধিক ফিলিস্তিনি, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। আজ সোমবারও উপত্যকাজুড়ে তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে নেতানিয়াহুর বাহিনী।
গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় হামাসের শীর্ষ নেতা সালাহ আল-বারদাওয়েল ও তাঁর স্ত্রী নিহত হয়েছেন। হামাসের দেওয়া বিবৃতি থেকে জানা গেছে, আল-বারদাওয়েল হামাসের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগ্রহণকারী নেতা ছিলেন। তিনি ২০০৯ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় হামাসের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
গাজায় পঞ্চম দিনের মতো চলছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আইডিএফের বর্বরতা। ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় উপত্যকায় ৩৪ জন নিহত হয়েছে। হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, নিহতদের মধ্যে ১৪ জনই দক্ষিণ গাজার বাসিন্দা।
অল্প কিছু দিন যুদ্ধবিরতি থাকলেও ইসরায়েল অঞ্চলটিতে আবারও হামলা শুরু করেছে। এই হামলায় মাত্র ৭২ ঘণ্টায় ৭০০ ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অঞ্চলটিতে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ হাজার। এদিকে, গাজার একমাত্র ক্যানসার হাসপাতালটিও ধ্বংস করে...
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ ঘোষণা করেছেন, তিনি সেনাবাহিনীকে গাজায় আরও ভূমি দখল করতে নির্দেশ দিয়েছেন এবং সতর্ক করেছেন—হামাস যদি বাকি বন্দীদের মুক্ত না করে, তবে ইসরায়েল গাজার কিছু অংশ নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করবে।
হাসপাতালগুলোতে হতাহতদের উপচে পড়া ভিড়ে দিশেহারা পরিস্থিতি। চিকিৎসকেরা বলছেন, এত বিপুল পরিমাণ মানুষের স্থানসংকুলান সম্ভব হচ্ছে না। তার ওপর কোনো হাসপাতালই পুরোপুরিভাবে কর্মপরিচালনা করতে পারছে না। নেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা-সরঞ্জাম, ওষুধ। তাঁরা বলছেন, চিকিৎসার একেবারে মৌলিক উপাদানগুলোরও অভাব তৈরি হয়েছে।